সুমন খান:
রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে চলছে স্পা সেন্টারের নামে তরুণ-তরুণী দিয়ে জমজমাট মাদক দেহ বাণিজ্য ও ব্ল্যাকমেইল রমরমা ব্যবসা প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করতেছেন! কোন ভূমিকা নিচ্ছেন না । শুধু তাই নয় ট্রেড লাইসেন্স আছে কিনা তাও অসম্ভব খতিয়ে দেখা হোক? গুলশান ২ এর রোড নং ৯৫, হাউজ নং-১, লেভেল-২ এ ডায়মন্ড থাই স্পা সেন্টারে চলছে এই বাণিজ্য ও ভয়ংকর অপরাধমূলোক কর্মকান্ড। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবক্ষয়ের কারনে অনেকটা প্রকাশ্যেই নীতিহীন ঘৃনীত জিনা ব্যাভিচার আর মাদকতায় সয়লাভ করে দিচ্ছে ডায়মন্ড থাই স্পার সাথে জড়িতরা। কি ভাবে স্থানীয় থানা পুলিশের নাকের ডগার উপরে অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে তা সকলের বোধগম্য নয়।
ডায়মন্ড এস্পার গডফাদার সাইফুল একাধিক নারী নিয়ে বিদেশেও সাপ্লাই দিচ্ছেন? শুধু তাই নয় গুলশান থেকে চাকুরির নামে নারীদের সাথে চলছে প্রতারণা, এক ভুক্তভোগী নারী সোনিয়া বলেন, আমাকে বলছে একটা চাকরি দেবে ১৫০০০ টাকা কিন্তু আমাকে জোর জবর ধর্ষণ ,করে এই স্পা কাজে লাগিয়ে দেন এই সাইফুল । কে এই গডফাদার জানতে চাই গুলশান বাঁশি সহ সকল পেশাশ্রীনী মানুষ।
সাইফুল, হিমেল, শামীমের মতো এক শ্রেণীর অর্থলোভী দালাল নারীদেরকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফিল্মি স্টাইলে ব্ল্যাকমেলই করে দেহ ব্যবসা করাতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের টার্গেট বৃত্তবান প্রভাবশালী সন্তানরা। অল্প বয়সী নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে মওকা হাসিল করছে ।
শুধু তাই নয় এই সাইফুল এই নারী ও মাদক ব্যবসা করে গুলশান বানাইতে ১০ থেকে ১২ টি ফ্লাট মালিক হয়েছে বলে জানা গেছে! সাইফুল ও হিমেলকে শামীমকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলেন আমরা এখানে পুলিশ প্রশাসন পাস করার দিন নাই এখন কেন মাছ ধরা দেব এখানে যেই কোন আসবে মা সরীতে পুলিশ সাংবাদিক কিংবা নেতাকর্মীদের করার এখন সময় নেয় দেশ স্বাধীন করছি। তাদেরই এই ধরনের বক্তব্য শুনে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে বলেন ওরা তো দেশের সমাজের শত্রু। একদিকে করছে অসামাজিক কার্যকলাপ আর প্রশাসনের বিরুদ্ধে এলাকা মহল্লার বিরুদ্ধে চলছে তার মিথ্যা অপপ্রচার। এক গোপন সূত্রে জানতে পারলাম ছাত্র আন্দোলনের আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার সরকারের রামরাজ্য কায়েম করেছেন এই সাইফুল? ছাত্র হত্যার আওয়ামী লীগ এক নেতাকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ছাত্রের উপর হামলা করার এ ডায়মন্ড স্পার ম্যানেজার সাইফুল। বাড্ডা ছাত্র হত্যা অর্থ এবং খাবার এবং পুলিশের সাথে আওয়ামী লীগের সাথে একটিবদ্ধ হয়েছিলেন সাইফুল এমন একটি তথ্যসূত্র আমাদের কাছে এসে গেছে । শুধু তাই নয় ওখানে এক সামান্যয়কর ছাত্র সে বলেন এই শালাকে কোথায় থাকে আমরা দেখব আপনাদের সাংবাদিকরা যখন নিউজ করেছেন ওর ছবি দেখে আমরা চিনতে পারছি ।ও ছাত্র আন্দোলনের আমাদের উপরে হামলা করেছিল প্রশাসনের পেছে থেকে আওয়ামী লীগের সাথে সঙ্ঘবদ্ধ করে। কিন্তু আজ সাইফুল হিমেল রাম রাজ্য কায়েম করতেছেন এসপা নামে দেহ ও মাদক বাণিজ্য। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সাইফুল ও হিমেলকে যদি কোন আইনের আওতায় না আনা হয় তাহলে গুলশান সমাজটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এই সাইফুল।
ডায়মন্ড সেন্টারের নিচতলায় এক হকার বলেন এই সাইফুলের কথাবার্তা চালচরণ দেখে আমাদেরকে খুব একটা ভালো মন হচ্ছে না বাপ যেন আওয়ামী লীগ এবং জঙ্গিবাদী। ওর বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা না নিলে আসলে দুঃখের বিষয় কি দেশ স্বাধীন হয়েছে কি এই অসামাজিক কার্যকলাপ দেখার জন্য না শোনার জন্য। আমরা যখন পত্রপত্রিকা অনলাইনে ওর নিউজ এবং ছবি দেখি আমরা খুব আনন্দিত হই এবং গর্বিত বলে মনে করি ।এবার প্রশাসন না হলেও ছাত্র সমার্থক যারা আছেন এর প্রতিবাদ করবেন কিন্তু উল্টা দেখছি কিছুই করতেছে না।
এই সাইফুল দেশের বাড়ি বরিশাল তিন থেকে চার তলা একটা বাড়ি করে এই অবৈধ ব্যবসা সেন্টার থেকে। রাত রাতে এখন সে উত্তরা গাজীপুর বাড্ডা তার তিন তিনটা ফ্লাট আছে । বাড্ডা একটি আবাসিক এলাকায় তার ফেলালে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ এমনটি তথ্য আমাদের কাছে আছে।
ডায়মন ্ড সেন্টারে যদি কেউ যান পিতার থেকে সিসি ক্যামেরা দেখে বন্ধ করে রাখেন পরিচয় জানতে চান কে। আপনি যদি বলে আমি সাংবাদিক পুলিশ অমুক পরে আমাদের এই সেন্টারে কোন কিছু হয় না একদম বন্ধ।
এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে , স্কুল ছাত্র রাহাত বলেন, ভাই আমি ওখানে গিয়েছিলাম একটি ভিসা নামে একটা সেন্টার আছে কিন্তু চাঁদ দেখে আমি নিজেই লজ্জিত কিভাবে নারীদেরকে নিয়ে ওখানে স্পা আড়ালে দেহ ব্যবসা চলছে ।আমার বয়সেও এমন কিছু দেখে আমি নিজেই ঘুমাতে পারিনি। সুন্দর একটি গুলশান আভিজাত এলাকায় এই ধরনের ব্যবসা কিভাবে চলে এ বিষয়ে প্রশাসন কিংবা এলাকা মহল্লা কেউ দেখেনা নানা দেখে চুপচাপ করে বসে থাকে।
এধরনের অবৈধ স্পা প্রতিষ্ঠানে জড়িয়ে পড়ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী,তরুন তরুণী। এই অপরাধমূলক ব্যবসা ধরে রাখতে কেউ নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন ডিআইজির চাচাতো ভাই, ওসির খালতো ভাই, কেউ পুলিশ কর্মকর্তা বন্ধু, সাংবাদিকের বন্ধু, এমনকি স্থানীয় নেতা প্রভাবশালীদের নাম উঠেছে। দীর্ঘ অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাদের অপরাধের কার্যক্রম ভিন্ন রকম। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বাহিরে তালা দিয়ে ভিতরে চলছে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে এ যেন কানামাছি খেলা। ডিজিটাল কায়দাকে কাজে লাগিয়ে নামিদামি ব্র্যান্ডের সিসি ক্যামেরাও লাগিয়েছেন প্রতিষ্ঠানে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গুলশান ২ এর রোড নং ৯৫, হাউজ নং-১, লেভেল-২ এ অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে ডায়মন্ড থাই স্পা সেন্টারে নাম দিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। সাইফুল ও তার সঙ্গিরে মিলে ভূয়া ট্রেড লাইসেন্স ও বাড়ী ভাড়া নিয়ে স্পা সেন্টারের আড়ালে দেদারসে মাদক বিক্রি ও দেহপসারিনির পতিতা বৃত্তির যৌন ধান্ধার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বনামধন্য বসবাস এলাকা এখন লোকজন বলেন আমরা যৌনপল্লী শুনেছি রাজবাড়ী দৌলোদিয়া টাঙ্গাইল কিন্তু এখন দেখতেছি নতুন একটি পতিতালয় আমাদের এই আভিজাত এলাকায় গুলশানে । দুঃখের বিষয় এসব দেখে আর শুনে আমাদের যুবসমাজ, সুশীল সমাজ, সহকারে ধ্বংসের পথে । এর কি কোন প্রতিকার নাই এর কোন ভূমিকা প্রশাসন কিংবা সাংবাদিক এবং উগ্র মহলের দ্বারা নিবে না। আমরা কি নতুন একটি যৌনপল্লী হিসেবে আখ্যা দিব এই গুলশানে। দুঃখের বিষয় ভাইয়েরা আপনারা সত্য লিখে জাতির কাছে তুলে ধরুন। এই পতিতাপল্লীতে পরিণত হয়েছে আজ গুলশান বনানী ধ্বংসের পথে। একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর গুলশানে স্পা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর কি কোন ভূমিকা আজও কি প্রশাসন নিবে না নাকি টাকার কাছে সবাই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি